চীন দেশটাকে কিছুটা আজব দেশ বললে মনে হয় ভুল বলা হবে না। বন্য প্রাণীদের প্রতি তাদের অদ্ভুত ভালোবাসা রয়েছে। আর সেজন্যই কুমির, সজারু, নেকড়ে, সাপ, বাদুড়, শুকর, হায়না, ময়ূর, ভাল্লুক, কাঠবিড়ালি, কুকুরসহ প্রায় ১১০ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর মাংস সেখানকার মানুষ খেয়ে থাকে। গবেষণা বলছে, ৭০ ভাগ সংক্রামক রোগ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর মাংস থেকে বিস্তার ঘটে থাকে।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছে, তা সত্যিই উদ্বেগজনক। ক্রেইট এবং কোবরা নামের দুই প্রজাতির সাপের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে, এমনটাই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাদুড়ের কথাও শোনা যাচ্ছে। বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটার কারণে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
চীন ফেরত মানুষের কাছ থেকে আরো কয়েকটি দেশেও এই ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩০০ মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং ইতোমধ্যেই ৪১ জন মারা গিয়েছে। বিষয়টা সত্যিই ভয়ঙ্কর। সংখ্যাগুলো হয়তো আরো বেড়ে যাবে। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে যাতে অন্যদের মাঝে না ছড়ায় সেজন্য জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কার হয়নি।
ভাইরাসটির প্রাথমিক লক্ষণ খুবই সাদামাটা জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট। কিন্তু পরিণতি খুবই মারাত্মক। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি হয়েছে। কিন্তু মানুষের মৃত্যু যেন আরও সহজ হয়ে গেছে। সময় দিচ্ছে না।