প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের ঘর হতে বাহির হতে হয়। অনেক সময় সাথে মা,বোন, স্ত্রী, ছেলেমেয়ে থাকে।
বর্তমানে ইজিবাইক জনপ্রিয় বাহন। গ্রামের রাস্তায়ও ইজিবাইক চলছে। ভাড়াও কম এবং দ্রুত গন্তব্যে পৌছা যায়। এই বাহনে চলাচলকারীদের এবং চালকের সতর্ক থাকা উচিত।
মাতৃমৃত্যুর সমীক্ষা বলছে, প্রত্যক্ষ কারণে মৃত্যুর হার ৪০ শতাংশ, কিন্তু পরোক্ষ কারণে মৃত্যু হয় ৩১ শতাংশ।
প্রায় প্রতিদিনই ইজিবাইকের চাকায় ওড়না পেচিয়ে মহিলা মারা যাচ্ছে। যে সব মেয়েরা ওড়না ব্যবহার করেন তাদের অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে। মহিলাদের বলছি- ইজিবাইকে চড়ার সময় নিজের ওড়নার প্রতি খেয়াল রাখুন। ওড়না যেখানে থাকার কথা সেখানেই রাখুন।
ইজিবাইকে মৃত্যুর ঘটনায় আসলে চালকের কোন দোষ নেই। যাত্রী যদি নিজেই সজাগ থাকে তাহলে দূর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। আসুন একটু সচেতন হই। তাতে জীবনও বাচবে, ইজ্জত বাচবে।
কিছু সাবধানতা অবলম্বন করুন :
* একা যাওয়ার সময় নিজের কাপড় ভালো করে গুছিয়ে বসতে হবে।
* হাতের ব্যাগ দিয়ে ওড়না বা আঁচল চাপা দিয়েও রাখতে পারেন, যাতে বাতাস লেগে বারবার উড়ে না যায়।
* একটু পর পর পরনের কাপড় উড়ে চাকার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে কিনা দেখে নিতে হবে।
* সঙ্গী থাকলে গল্পে মত্ত হয়ে যাওয়া ঠিক নয়। মনোযোগ গল্পের মধ্যে বেশি থাকলে সাবধানতার ঘাটতি হতে পারে।
* হাতে অনেক জিনিস থাকলে তা পায়ের কাছে রেখে নিজের ওড়না বা আঁচল গুছিয়ে কোলের ওপর রাখুন।
* সঙ্গে বাচ্চা থাকলে নিজের ও বাচ্চার কাপড় গুছিয়ে তবে চালককে রিকশা চালানোর অনুমতি দিন।
* রিকশায় চলার সময় অবশ্যই চালকের সিটের নিচের রডে পা ঠেস দিয়ে বসুন, যাতে ছোট খাটো দুর্ঘটনায় নিজের শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।
* পরনের কাপড় সিনথেটিক হলে অবশ্যই সেফটিপিন লাগাতে হবে। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কম থাকে। কারণ, সেফটিপিন ছাড়া সিনথেটিক কাপড় সামলানো কষ্টকর হয়।
* রিকশায় চলার সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা বা ফেসবুকিং করার সময় এধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই যথা সম্ভব সাবধানে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
* রিকশার কোনো যাত্রীকে এধরণের দুর্ঘটানার সম্মুখিন দেখলে অবশ্যই তাকে সাবধান করতে হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার মুখে যেন কেউ না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ছবি ফেসবুক থেকে এবং তথ্য বিভিন্ন পত্রিকা থেকে সংগৃহিত।