বিহারের পশ্চিম চম্পারণ থেকে এক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে। পার্টির অজুহাতে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ডেকে নিজের চার জন বন্ধুর সাথে মিলে গণধর্ষণ করেছে। শুধু তাই নয়, তিনি পুরো ঘটনার ভিডিও শ্যুট করেছিলেন এবং স্ত্রীকে হুমকি দিয়েছিলেন যে যদি তার স্ত্রী কোথাও অভিযোগ করে ভিডিওটি ভাইরাল করে দেওয়া হবে। কট্টরপন্থী বেশ কয়েক মাস ধরে স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেল করছিল। হুমকির মধ্যেও সেই ব্যক্তির স্ত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে যান কিন্তু সেখানেও তাকে খালি হাতে ফিরতে হয়।ধর্ষণের এই ঘটনাটি ১৬ই নভেম্বর, ২০১৬ তে ঘটেছিল, অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে। গত কয়েক মাস ধরে তিনি বিচারের জন্য এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন কিন্তু সোমবার (২ মার্চ, ২০২০) মামলাটি দাখিল করা হয়। বিহার পুলিশের মহাপরিচালকের নজরে আসার পরে পুলিশ তত্পরতায় নেমেছে। অভিযুক্তের নাম মোহাম্মদ তাজ্জাদীন খান। তিনি পশ্চিম চম্পারনের বারিয়ার বাসিন্দা। ২০১৪ সালে ভুক্তভোগীর সাথে তার বিয়ে হয়েছিল আর তারপর থেকেই তিনি যৌতুকের জন্য তার স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করে দিয়েছিলেন।ভুক্তভোগী জানায় যে নিকাহর পরে এক-দু’মাস সবকিছু ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু তারপর তাজাউদ্দিন বুলেট মোটর সাইকেলের দাবিতে স্ত্রীর উপর চাপ সৃষ্টি করে। সে ক্ষতিগ্রস্থের সমস্ত গহনা নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেয়। এরপরে অভিযুক্ত উপার্জনের জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়। ২০১৬ সালে, তিন মাস বাইরে উপার্জন করে অভিযুক্ত দেশে ফিরেছিলেন এবং পার্টির অজুহাতে তার স্ত্রীকে তার বন্ধুর সাথে দেখা করতে ডেকেছিলেন। তাঁর স্ত্রী সেখানে পৌঁছে দেখেন যে তার ৪ বন্ধু আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিল।পীড়িত মহিলা পার্টির জায়গায় গিয়ে দেখেন যে সেখানে কোনো পার্টি হচ্ছে না। তারপর তার স্বামী জোর করে তার হাত ধরে একটি ঘরে নিয়ে যান। সেখানে তাজাদ্দিন তার চার বন্ধুকে নিয়ে তার স্ত্রীর গণধর্ষণ করেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পরে, সেই মহিলার স্বামী তাকে হুমকি দেন যে যদি সে কোনও জায়গায় মুখ খোলে তবে ধর্ষনের ভিডিওটি ভাইরাল করে দেবে।এদিকে, ভুক্তভোগী এইসবের নধ্যে একটি কন্যা সন্তানেরও জন্ম দিয়েছেন এবং তার কিছু দিন পরে, যখন সে তার বাপের বাড়ি যায় তখন মহিলাটি তার বাড়ির লোকেদের তার স্বামীর বিষয় সব তথ্য জানায়। আক্রান্তের বাবা দিল্লির একজন অটো চালক। তিনি তার মেয়ের ন্যায়বিচার পেতে কঠোর লড়াই করেন। মহিলাটি এসপি-র দরজায় কড়া দেওয়া থেকে শুরু করে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ পর্যন্ত দাখিল করান। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছিল, এর পরে ডিজিপি এই বিষয়ে মনোযোগ দেন এবং স্থানীয় থানাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এখন অভিযুক্তকে অর্থাৎ মহিলার স্বামী ও তার বন্ধুদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
Tags:
• অপরাধ