রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ৮টি উপায়
নিয়মিত ঘুমান
আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে যা ঘুমের সময় সবচেয়ে বেশি কাজ করে। সুতরাং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
খুব বেশি দুশ্চিন্তা করছেন?
যখন আমরা চিন্তা করি তখন করটিসল এবং অ্যাড্রেনালীন নামক দুটি হরমোন নিঃসৃত হয়। যদিও এই হরমোনগুলো মাংসপেশী বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তবে এদের মাত্রা বেশি হলে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যায়। তাই নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখুন।
হাঁটাচলা করুন নিয়মিত নিয়মিত
হেঁটে আপনি অনেক বড় বড় রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। নিয়মিত হাঁটার মাধ্যমে শরীরের অ্যান্টিবডি এবং শ্বেত রক্ত কনিকা সচল থাকে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং কোন রোগ সহজে আপনাকে আক্রমণ করতে পারেনা।
অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবারকে না বলুন!
রান্নায় অতিরিক্ত সয়াবিন তেল ব্যবহার করা উচিৎ নয়। সয়াবিন তেল অলিভ অয়েল বা ক্যানোলা অয়েলের থেকে তিন গুন বেশি খারাপ কোলেস্টেরল বহন করে। সয়াবিন তেল না খেয়ে রাইস ব্যান অয়েল বা অলিভ অয়েল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
বেশি বেশি সবুজ এবং পাতাজাতীয় শাকসবজি খান
শাকসবজির মধ্যে থাকে খাদ্যআঁশ এবং প্রোটিন যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সুতরাং খাদ্যাভাসে শাকসবজির পরিমাণ বাড়ানো উচিত।
মাদক বা সিগারেট জাতীয় পণ্য বর্জন করুন
সিগারেট বা মদ জাতীয় পণ্য গ্রহণ করলে শরীরের কার্যক্ষমতা কমে যায়। দিনে ২-৩ পেগ মদ খেলে শরীরের ইনফেকশন রোধের ক্ষমতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে থাকে এবং ঠাণ্ডা ও ফ্লু ভাইরাস দেখা দেয়।
ভিটামিন এবং মিনারেল গ্রহণ করুন
শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেল সঠিক মাত্রায় রাখা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত জরুরী। ভিটামিন এ যেমন দরকার তেমনি অতিরিক্ত ভিটামিন এ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরও।
পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহন করুন
প্রোটিন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করে। সুতরাং শরীরে প্রয়োজনীয় মাত্রার প্রোটিন থাকা জরুরী। ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়লে বুঝবেন আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি আছে। প্রোটিনের অভাব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায়।