নিজেরই অবৈধ সম্পর্কের মাধ্যমে জন্ম নেয়া কন্যাসন্তানের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা অথবা তাকে বিয়ে করাকে ইসলাম সমর্থন করে- মিশরের বিখ্যাত সালাফি মতাদর্শী ধর্মীয় নেতা মাজেন আল সারসওয়ী এমনটাই বলেছেন।এ প্রসঙ্গে আল সারসওয়ী শাফেয়ী মতবাদের প্রবক্তা প্রখ্যাত ইসলামী পন্ডিত ইমাম আল শাফেয়ীর প্রণীত বিধানের তথ্যসূত্র উল্লেখ করে বলেন, অবৈধ সম্পর্কের জেরে জন্ম নেয়া কন্যাসন্তানের জন্মের ওপর পিতার কোন দায় নেই এবং পিতার পরিচয়ও তার ওপর বর্তায় না, তাই তাদেরকে বিয়ে করা ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী জায়েজ।তার এই বয়ান একটি ভিডিওতে প্রকাশিত হওয়ার পর ভাইরাল হয়ে গেছে এবং এর বিপরীতে ব্যাপকভাবে সমালোচনার শিকারও হচ্ছেন তিনি। ওই ভিডিওতে আল সারসওয়ি ইমাম আল শাফেয়ীর রেফারেন্স টেনে বলেছেন, শরীয়া মোতাবেক পুরুষরা চাইলে তাদের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের মাধ্যমে জন্ম নেয়া কন্যাদেরকে বিয়ে করতে পারে।মিশরে অবস্থিত বিশ্বখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রথিতযশা অধ্যাপক আল সারসওয়ী ইমাম আল শাফেয়ীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ব্যাভিচারের মাধ্যমে জন্ম নেয়া কন্যাসন্তান আদৌ ওই পুরুষের কন্যাই নয়! কারন, অবৈধ কন্যাসন্তান পিতার নাম পরিচয় বহন করে না, শরীয়া অনুযায়ী কন্যাটি ওই পুরুষের নয়, এমনকি তার জন্মের ওপর পুরুষটির কোন হাত নেই।এই ভিডিওটি ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল কিন্তু সম্প্রতি এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবারও ঘুরে ফিরে প্রচারিত হচ্ছে।ব্যাপক সমালোচনা তৈরী হয়েছে তার এই ভিডিওটি দেখে। অনেকেই টুইট করে বলছেন, এই পাগল কী বলছে? নারী দর্শকরাও ক্ষুব্ধ হয়ে সমালোচনা করেছেন এই মতবাদের।
এই বছরের শুরুতেই মিশরীয় আরেক ইসলামী পন্ডিত মুফতাহ মোহাম্মদ মা’রুফ টেলিভিশনের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘বিয়ের জন্য মেয়েদের বয়স কোন বিষয় নয়, নবজাতক বিয়েতেও কোন সমস্যা নেই। বরং কম বয়সী দেখেই বিয়ে করা উচিৎ। শারীরিক সম্পর্ক তার মৃত্যুর কারন হবে না, এমনটা মনে হলেই তাকে বিয়ে করে ফেলা যাবে। মেয়েদের বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়াতে কোন নির্দিষ্ট বয়সসীমা দেয়া নেই। তাই যে কোনও বয়সই বিয়ের উপযুক্ত।’
মূল আরবীতে ভিডিওটি দেখতে আগ্রহীদের জন্য:
মূল আরবীতে ভিডিওটি দেখতে আগ্রহীদের জন্য: