বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি। যার মাধ্যমে দুইজন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়।বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণভাবে বিবাহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দুইজন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। কিছু সংস্কৃতিতে, যে কোনো প্রকারের যৌন কর্মকাণ্ডে প্রবৃত্ত হওয়ার পূর্বে বিবাহ সম্পন্ন করাকে বাধ্যতামূলক হিসেবে পরামর্শ দেয়া হওয়া অথবা বিবেচনা করা হয়।
বিশদ বিবৃত সংজ্ঞার ভাষায় বলতে গেলে, বিয়ে হলো একটি বৈশ্বিক সার্বজনীন সংস্কৃতি। বিয়ে সাধারণত কোনো রাষ্ট্র, কোনো সংস্থা, কোনো ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ, কোনো আদিবাসী গোষ্ঠী, কোনো স্থানীয় সম্প্রদায় অথবা দলগত ব্যক্তিবর্গের দ্বারা স্বীকৃত হতে পারে। একে প্রায়শই একটি চুক্তি হিসেবে দেখা হয়। সাধারণত আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মীয় অথবা ধর্মনিরপেক্ষ আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
বিয়ের বয়স: বিয়ের জন্য সেরা বয়স কত? তা নিয়ে আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। অনেকেরই ধারণা শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকলেই বিয়ে করা যায়।এখানে বয়স লাগে না। তবে গবেষরকা বলছেন ভিন্ন কথা। বিয়ের সঠিক বয়সটি জেনে নিয়ে সে বয়সে বিয়ে করার গুরুত্ব সম্প্রতি তুলে ধরেছেন গবেষকরা। জেনে নিন সেই বয়সটা কত? অনেকেরই ধারণা ২০ বছর বা তার আশপাশের বয়সে বিয়ে করাই ভালো।
অনেকের আবার ধারণা বেশি বয়সে বিয়ে করাই সবচেয়ে ভালো। এক্ষেত্রে গবেষকরা সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন এ গবেষণায়। এতে উঠে এসেছে বিয়ের জন্য সবচেয়ে ভালো বয়স হলো ২৬ বছর।
কেন ২৬ বছর? সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন বিয়ের জন্য সেরা বয়স হলো ২৬ বছর। কিন্তু কেন? এ বিষয়টি নির্ণয়ের জন্য একটি বিশেষ সূত্রের ব্যবহার করেছেন গবেষকরা। এতে উঠে এসেছে ৩৭ শতাংশের কথা।
গবেষকরা বলছেন, ধরুন একজন মানুষ ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে করতে পারেন। এক্ষেত্রে তার বিয়ের জীবনের (২২ বছরের) ৩৭ শতাংশ যখন পার হয় তখনই এ সময়ের তুঙ্গে থাকে বিয়ের উপযুক্ত বয়স।
গবেষকরা বলছেন, একটি চাকরি খোঁজা, সম্পত্তি ক্রয় করা কিংবা সঙ্গী বাছাই করা সব ক্ষেত্রেই ৩৭ শতাংশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এক্ষেত্রে হিসাবমতো ২৬ বছরটিই হচ্ছে সে বয়সটি।